দীর্ঘ প্রায় নয় বছর ধরে গোসাইরহাটে কর্মরত। মানুষের মুখে মুখে শুনে আসছিলাম গোসাইরহাটের সবচেয়ে প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি নাগেরপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর তালুকদার বাড়ি জামে মসজিদ। যাহা লোকমুখে জ্বীনের মসজিদ নামে পরিচিত। অনক বার মসজিদটি দেখার জন্য যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করলেও যাওয়া হয়নি। কিন্তু আজ বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করে ফেরার পথে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইছে মসজিদটি দেখবোই। চলে যাই মসজিদটি দেখতে। আসলেই প্রাচীন ঐতিহ্যের নিদর্শন মসজিদটি। লোক মুখে শোনা যায় প্রায় ৪০০ থেকে ৪৫০ বছর পূর্বে মোঘল আমলে মসজিদটি নির্মিত। কি নিপুন কারুকার্য! এখনো দাঁড়িয়ে আছে নিজস্ব সৌন্দর্য্য নিয়ে। শান বাঁধানো ঘাটটি এখনও রয়েছে কালের সাক্ষী হয়ে।এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারি সেই মোগল আমলে এমন একটি মসজিদ নির্মাণ করার মত এই এলাকায় বিখ্যাত কোন ব্যক্তি ছিল না।কে বা কারা মসজিদটি নির্মান করেছে তাও কেউ সঠিকভাবে বলতে পারে না।তাই সম্ভবত সকলের কাছে মসজিদটি জ্বীনের মসজিদ নামে পরিচিত।মসজিদটিতে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং শুক্রবারে জুম্মার নামাজ পড়েন এলাকাবাসী।দেখামতে মসজিদটি ঝুকিপূর্ন মনে হয়।তাই ঐতিহ্য রক্ষা ও ঝুকিমুক্ত পরিবেশ তৈরির জন্য মসজিদটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস